ফ্রিজের ঠান্ডা পানির ৫টি প্রধান ক্ষতির কারণ

ফ্রীজের ঠান্ডা পানি আপনার জন্য হতে পারে মৃত্যর কারন
----------------------
সারাদিন রোযা রাখার পরে ইফতারির পূর্ব মূহুর্তে ফ্রীজের ঠান্ডা পানি নিয়ে আজানের অপেক্ষা করাটা আমাদের নিত্য দিনের অভ্যাস, আজান শুনলেই ঠান্ডা পানি ঢক ঢক করে আমরা অনেকেই পান করি । কিন্তু জানেন কি, সারাদিনের পরে এভাবে ঠান্ডা পানি খেলে শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে?

হার্ট এর সমস্যাঃ
ঠান্ডা পানি পানের কারণে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয় হার্টের। গরম থেকে এসেই ঠান্ডা পানি পান করলে শরীরের শিরা উপশিরা সঙ্কুচিত হয়ে যায়।ফলে স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালন করতে হার্টের উপর বাড়তি চাপ পড়ে। এই বাড়তি চাপ হার্টের জন্য একেবারেই ভালো না। সাথে সাথেই কোনো সমস্যা দেখা না দিলেও, দীর্ঘমেয়াদে জটিল হৃদরোগ দেখা
দিতে পারে।

জ্বর হওয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে:
আমাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। কিন্তু ঠান্ডা পানি পান করলে আমাদের রক্ত হঠাৎ করেই শীতল হয়ে যায়।ফলে শরীরে ভেতরের অংশে হঠাৎ করেই অনাহুত অস্বস্তি দেখা দেয়। এধরনের অস্বস্তি জ্বরের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দেয়। শরীরে পর্যাপ্ত পানির চাহিদা পূরণ হয় না: ঠাণ্ডা পানিতে তৃত্ষ্ণা মেটে চট করে, তৃপ্তি চলে আসে তাড়াতাড়ি। ফলে শরীর মনে করে তার আর পানি পানের প্রয়োজন নেই। ফলে শরীরের প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা মেটে না। এ ঘাটতি থেকে পানিশূন্যতা তৈরি হয় যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

টনসিলের সমস্যা হতে পারেঃ
ঠান্ডা পানিতে সহজে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা থাকে ফলে টনসিল ফুলে গিয়ে সমস্যা হতে পারে।

খনিজের অনুপস্থিতিঃ
সাধারণ পানি স্বাভাবিক অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদানে পূর্ণ থাকে। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারি। কিন্তু পানি ঠান্ডা হয়ে গেলে এসব খনিজ উপাদানের কার্যকারিতা কমে যায়। তখন শরীরের জন্য এরা আর
কোনো কাজ করতে পারে না। ফলে পানি থেকে শরীরের যে খনিজের চাহিদা পূরণ হয় সেটা অপূর্ণই থেকে যায়।

ঠান্ডা পানিতে হজমের সমস্যা হয়ঃ
ঠান্ডা পানি পান করার ফলে পাকস্থলী খাবার হজমের চাইতে ঠান্ডা পানিকে শরীরের তাপমাত্রায় নিয়ে আসতে বেশি
ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে পাকস্থলীর যে মূল দায়িত্ব সেই খাবার হজমের প্রক্রিয়ায় ছেদ পড়ে, হজমে সমস্যা দেখা দেয়।
শরীরের শক্তি ক্ষয় করেঃ আমাদের শরীরের তাপমাত্রা যেহেতু স্বাভাবিক মাত্রায় ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তাই
ঠান্ডা পানি যখন পাকস্থলীতে জমা হয় তখন পাকস্থলী তা শরীরের তাপমাত্রায় নিয়ে আসে।

Comments